রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখনও ৭ জনের পরিচয় মেলেনি। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা শতাধিক বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে এক ব্রিফিংয়ে হতাহতদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
সায়েদুর রহমান বলেন, ৭টি হাসপাতালে ৮৮ জন ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিটিউটে ৪৪ জন ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন, শুধু মাত্র ইনফেকশনের কারনে অনেকে মারা যেতে পারে। তাই হাসপাতালের ভেতরে সবাইকে প্রবেশ না করার অনুরোধ করছি। এ সময় অনেকে রক্ত দান করেছে বলেও জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন ১৭১ জন। এছাড়া, বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরও মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে নিহত ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার এই স্কুলটির একটি ভবনে বিমান বাহিনীর এফ-সেভেন বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট এবং তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। হতাহতদের নেয়া হয় হাসপাতালে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।